ডেস্ক: ভোর থেকেই কালো করে রয়েছে আকাশ। সকাল সাড়ে ছ’টা-সাতটা থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি। আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি আগামী ২০ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপরে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি, মৌসুমী অক্ষরেখা বাঁকুড়া থেকে দিঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দু’য়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে আজ বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। কাল থেকে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা উত্তরবঙ্গে।
আগামী ২৪ ঘণ্টাতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও কোনও জেলাতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুরের পূর্বাভাস, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে কলকাতায়।
আরও পড়ুন: দড়িতে মোম দেওয়া হয়নি কেন? ফাঁসির মঞ্চে শেষ প্রশ্ন ছিল শহিদ ক্ষুদিরামের
জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রবল বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যায় ইতিমধ্যেই ভাসছে রাজ্যের বহু এলাকা। রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে হুগলির আরামবাগ,খানাকুল ,পুড়শুড়া ও গোঘাটে। এমনিতেই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায়। বেশ কিছু এলাকায় দুর্গতরা ছাদে ত্রিপল টানিয়ে জীবন যাপন করছেন। রাত থেকে বৃষ্টিতে সেই সমস্ত বন্যাদুর্গতদের অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে। এদিকে রূপনারায়ণের জল খানাকুলের ধানঘ্যোরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাত্র পাড়া ও মাইতি পাড়া এলাকা দিয়ে গ্রামে ডুকছে এখনো। তবে নতুন করে খানাকুলে বন্যার জলস্তর বাড়েনি।
আলিপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও কালিম্পং-এ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সর্তকতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।