ডেস্ক: ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতাদের উপর আক্রমণ ও গ্রেফতারির ঘটনার পরপরই রবিবার সকালে ত্রিপুরায় পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আগরতলায় পা রেখেই অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘তৃণমূল এক ছটাক জমি বিজেপিকে ছাড়বে না।’
এদিন বলেন, ‘আমরা কোথায় বাস করছি। ত্রিপুরাকে বিজেপি নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবছে। বিপ্লব দেব গণতন্ত্রের কথা বলেন কী করে? এখানে বিরোধীদের কিছু করতেই দেওয়া হয় না। সাতদিন হয়নি দ্বিতীয় বার ত্রিপুরায় এলাম। আইনের শাসন নেই। সমাজবিরোধীদের মুক্তাঞ্চল। যাঁদের উপর আক্রমণ হল, তাঁদের জেলে ঢোকানো হল।’ তাঁর সংযোজন, ‘যারা কথায় কথায় দিল্লি মধ্যপ্রদেশ থেকে এসে বাংলায় গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা আসুন ত্রিপুরায়, দেখুন।’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় মহামারি আইনে গ্রেফতার ১১ জন তৃণমূলের নেতা-নেত্রী, আজই যাচ্ছেন অভিষেক
তিনি বলেন, “বিজেপি ত্রিপুরাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করেছে। বিপ্লব দেব ভাবছেন ত্রিপুরায় আসতে গেলে ভিসা নিয়ে ঢুকতে হবে। বিরোধীদের রাস্তায় নামার অধিকার নেই। কর্মসূচি করার অধিকার নেই। ত্রিপুরায় ঢুকলে পুলিস দিয়ে গ্রেফতার করাচ্ছে। গণতন্ত্র বিপন্ন। মানুষ আক্রান্ত। চ্যালেঞ্জ করলে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আক্রান্তদের জেলে ঢোকানো হয়েছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। এখানে আইনের শাসন নয়, শাসনের আইন চলছে ত্রিপুরায়। আমরা শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়ব। তৃণমূল বিজেপিকে এক ছটাক জমি ছাড়বে না।”
ফের অভিষেককে দেখানো হল কালো পতাকা। গো ব্যাক স্লোগান তুলল বিজেপি। এদিন ত্রিপুরার খোয়াই থানা ঘিরে রেখেছে বিজেপি বলে অভিযোগ। থানার পুলিশ কর্তার সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়ান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুধু তিনিই নন, পুলিশের সঙ্গে থানায় তর্কাতর্কি বেঁধে যায় অন্যান্য নেতার।