ডেস্ক: জোরকদমে ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করেছে শাসকদল। দেরিতে হলেও পিছিয়ে থাকতে নারাজ বিজেপি। তাই রবিবারের সকালে প্রচারে নামলেন ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিলেন প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হলেও ভয় পাচ্ছেন না তিনি। এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবেন না। ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালের সামনে প্রাতঃভ্রমণে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন। কুশল বিনিময় করেন। সাংবাদিকদের জানান, মানুষের পাশে থাকা, বাংলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করাই তাঁর লক্ষ্য। আমি কোনও বড় নেতা নই। আমি কিছু বলছি না। মানুষই বলছেন, আমাকে কী করতে হবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে তিনি কতটা আশাবাদী? উত্তরে বলেন, ‘জয় নিয়ে আমি আশাবাদী। কারণ আমি মানুষের জন্য লড়াই করছি। বিধানসভা নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে ওরা। এবারও যদি তাই করে তাহলে তো গণতন্ত্রের কোনও মানে হয় না। আইনজীবী বলেন, “চারদিকে যে সন্ত্রাস হচ্ছে তাকে বন্ধ করতে হবে। সেই দায়িত্ব ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তিনি নিজের কাজ করেননি। আমি কে? আমি একজন সাধারণ মানুষ। আওয়াজ তুলতে হবে। তাই আওয়াজ তুলছি।” তাঁর অভিযোগ, “যেখানে মহিলাদের ধর্ষণ হল, মানুষকে খুন করা হল, বাড়ি ছাড়া করা হল। সেটা কি গণতন্ত্র?”
আরও পড়ুন: ‘যতদিন বাঁচবেন, রাজনীতিতে থাকবেন – কানের কাছে বাজবে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
উল্লেখ্য, শনিবার প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে মমতার বোনের বয়সী মেয়ে বলে সম্বোধন করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি কে তা ওঁ ধীরে ধীরে চিনে যাবেন।’ ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বাবুল সুপ্রিয়র আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। একুশের নির্বাচনে তাঁকে এন্টালি থেকে প্রার্থী করা হয়। সেখানে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরে যান। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি।