দিনে দিনে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে মাত্র এক জন আত্মহত্যা করলেও, ২০২২ সালে পাঁচ জন, ২০২৩ সালে চার জন এবং ২০২৪ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় সাত জনে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরও দু’টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আত্মহত্যা রোধে মেট্রো কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় রেলমন্ত্রী জানান, শিয়ালদহ-সল্টলেক (গ্রিন লাইন) মেট্রো স্টেশনগুলিতে ‘স্লাইডিং দরজা’ বসানো হয়েছে। কিন্তু উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (ব্লু লাইন) পরীক্ষামূলকভাবে গার্ডরেল বসানো হচ্ছে। যদিও যাত্রীদের একাংশের মতে, এটি আত্মহত্যা রোধের কার্যকর সমাধান নয় বরং যাত্রীদের চলাচলে নতুন সমস্যা তৈরি করছে।
কলকাতা মেট্রোর বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ট্রেনের কারণে গার্ডরেল বসানোর পর অনেক ক্ষেত্রেই দরজার অবস্থানের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। এতে যাত্রীদের ওঠানামা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকের দাবি, এই ব্যবস্থা অর্থের অপচয় মাত্র।
যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গার্ডরেল ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক, প্রয়োজনে ভবিষ্যতে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনডোরের মতো কার্যকর ব্যবস্থার অভাবে কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার প্রবণতা কি কমানো সম্ভব? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।