ডেস্ক: আজ থেকে পথে বাস, সরকারি ও বেসরকারি বাস, আনলক নিয়মে এমনটাই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৩ হাজার সরকারি বাস নামার কথা। কলকাতাতেই বাস নামার কথা ছিল ৮০০। কিন্তু সকাল থেকেই শহরে ‘বাস-চিত্র’ একেবারেই অন্য। ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ মালিকপক্ষের। পর্যাপ্ত পরিবহণ নিয়ে সংশয়। রয়েছে ভোগান্তির আশঙ্কাও।
আজ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলার কথা। কিন্তু বেসরকারি বাস সংগঠন আগেই জানিয়ে দিয়েছে পুরনো ভাড়ায় ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। আর কার্যত তারই প্রতিফলন দেখা গেল বৃহস্পতিবার সকালে। শহর-জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী থাকলেও বাসের সংখ্যা হাতে গোনা। গড়িয়া থেকে একাধিক ডিপোতে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে থাকলেও, দেখা নেই বাস কর্মী- চালকদের। শুধু সরকারি নয়, পথে নেই বেসরকারি বাস, মিনিবাসও। ধর্মতলাতে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়েছে।
মোটের ওপর কলকাতা-জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে এদিন বাসের সংখ্যা নেহাতই কম। সেকথা বলেছেন যাত্রীরাও। তাঁদের বক্তব্য, “আধ ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে থাকলেও বাসের দেখা মিলছে না।” তবে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও কলকাতা বা জেলায় কত সংখ্যক বাস বা মিনিবাস নামবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছে।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, আগামী ২৪ ঘন্টায় জেলাগুলির বৃষ্টির পূর্বাভাস
এ প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল বাস ও মিনিবাস সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক নিখিল বলেন, “রাজ্য সরকারের কথাটা বাস্তবসম্মত নয়। আগে থেকেই আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। তখন থেকেই দাবি তুলেছিলাম। তার মধ্যে যেভাবে জ্বালানির দাম গগনচুম্বী হচ্ছে! এ তো আম জনতাও জানেন। এরই মধ্যে কোনও কনসিডারেশন ছাড়াই বলে দেওয়া হল ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব? আগেরবার মুখ্যমন্ত্রী তাও একটা আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাতে গাড়ি চালাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এবার তিনি কোনও আশ্বাসই দেননি। তাতে কীভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব?”