ডেস্ক: দিল্লির সংসদ থেকে ইউপি, রাজস্থান সব জায়গায় আওয়াজ উঠছে ‘খেলা হবে’। আজ নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘খেলা হবে দিবসের’ সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের উদ্বোধন করে আরও একবার ২৪-র বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, “কেউ মানুন অথবা না মানুন, ‘খেলা হবে’ আজ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সারা দিল্লিতেও আওয়াজ উঠছে খেলা হবে। খেলা কিছুটা হয়েছে আবার হবে। খেলা ছাড়া তো জীবন চলে না। খেলার মধ্যে দিয়েই ঐক্য, সম্প্রীতি, সংহতি, সুস্বাস্থ্য, সভ্যতা সব কিছু গড়ে ওঠে। খেলা হবে স্লোগানটা চিরস্থায়ী করা দরকার। বিভিন্ন খেলা ও কর্মসূচির মাধ্যমে খেলা হবে স্লোগানকে কার্যকরী করতে হবে। স্লোগানটা এতটাই জনপ্রিয়, যখন নির্বাচনের সময় গ্রামেগঞ্জে যেতাম, আমি নামতে না নামতেই চিৎকার শুরু হয়ে যেত- খেলা হবে।’
এবার থেকে প্রতিবছর ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করা হবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,’ওই দিন একটা খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকে মারা গিয়েছিল। আগে অনেক কর্মসূচি হত। প্রতিবছর ১৬ অগাস্ট পালন করব খেলা হবে দিবস। এটা খেলাধুলোর জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। ১ লক্ষ বল গরিব ক্লাবগুলিকে দেব।’
এদিন ২৫ হাজার ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’ নামে একটি প্রকল্প রাজ্যের টেলিমেডিসিনে এদিন যুক্ত করা হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উদ্বোধন করেন। এই পরিষেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। রাজ্যের বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যেসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকেই টেলিমেডিসিনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ পাবেন যে কোনও রোগী বা রোগীর পরিবার।
একই সঙ্গে রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদ থেকে দূরে সরে যাঁরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চেয়েছে এরকমই ২২০ জনকে স্পেশাল হোমগার্ড পদে নিয়োগ দেওয়া হল এদিন। এখনও পর্যন্ত ২০০০ জনকে এই চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। যার মধ্যে
১৩০০ প্রাক্তন মাওবাদী রয়েছেন। ৫০০-এর বেশি রয়েছেন এমন মানুষ, যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ মাওবাদী হামলায় মারা গিয়েছেন।