দিঘায় প্রথম রথযাত্রাকে ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছে সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিড় সামলাতে রাস্তায় থাকবে কড়া নিরাপত্তা, থাকবে ব্যারিকেডও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পদপিষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এড়াতেই রথযাত্রার সময় রাস্তায় সাধারণ মানুষ থাকবেন না। ব্যারিকেডের ও পার থেকেই তাঁরা রথ দর্শন ও দড়ি ছোঁয়ার সুযোগ পাবেন।
রথযাত্রার রূপরেখা ঠিক করতে এদিন দুপুরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডিজি রাজীব কুমার, ইসকনের রাধারমণ দাস-সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। রথের গতি, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কীভাবে চলবে, তা হাতে-কলমে কাগজে এঁকে বোঝান মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই মন্দির খোলা থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি। দুপুর ২টোয় আরতি ও পুজো, আড়াইটে নাগাদ রথযাত্রা শুরু হবে। প্রায় এক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে রথ পৌঁছাবে মাসির বাড়ি।
রথযাত্রায় যাতে কেউ ব্যারিকেড টপকে রাস্তায় না নামেন, তার জন্য কড়া নজর থাকবে প্রশাসনের। তবু যাতে দর্শনার্থীরা রথের দড়ি ছুঁতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে ব্যারিকেডের সঙ্গেই দড়ি বেঁধে। নিরাপত্তার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের পূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির গাছের আমও পৌঁছে দেওয়া হয় জগন্নাথ মন্দিরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “প্রথমবার দিঘায় রথযাত্রা। তাই অত্যন্ত সতর্ক আমরা। মানুষ যেন রথ দেখতে পারেন, দড়ি ছুঁতে পারেন, আবার ভিড়ে কোনো সমস্যা না হয়—সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। সকলে সহযোগিতা করলে উৎসব শান্তিপূর্ণভাবেই হবে।”