কলকাতা: শুক্রবার রাতে কসবা এলাকায় ঘটে যাওয়া প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে নিজের বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। এখনও আতঙ্ক কাটেনি এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে দফায় দফায় পরিদর্শন চালিয়ে অপরাধের উৎস খোঁজার চেষ্টা করছে। তবে কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে এবং কেন সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, তা এখনও অজানা।
শনিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। বাংলা সংস্কৃতির জায়গা। পুলিশকে বলব, অ্যাক্ট নাও। পুলিশ কোথায়? সুশান্তের পরিবারের পাশে আছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা বিহারের বাসিন্দা। তারা বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসে এবং বন্দর এলাকায় লুকিয়ে থাকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবায় এসে সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাইরের ক্রিমিনাল। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, বাইরের রাজ্য থেকে যেন দুষ্কৃতীরা না ঢুকতে পারে। সীমানাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকে পড়ছে তারা? পুলিশকে বলছি, এদের দ্রুত গ্রেফতার করো। আমি চাই, কোনও অপরাধী থাকবে না।”
সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ফিরহাদ হাকিম তৃণমূলের মনোবল দৃঢ় রাখতে বলেছেন। তিনি জানান, “১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতী আটকানো পুলিশের দায়িত্ব। আমাদের কাজ, পুর পরিষেবা দেওয়া। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, মরতে ভয় পাই না।”
তবে কারা এই হামলার পরিকল্পনা করল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফিরহাদ জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সুশান্ত ঘোষের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।