আড়াই বছর পর ধূপগুড়িতে ফুটল ঘাসফুল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েধূপগুড়িতে জয়ী হল তৃণমূল। উপনির্বাচনের গণনা শেষে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে চার হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে জয়ী হলেন তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়।
শুক্রবার গণনা শুরু হতেই ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! প্রথম ২ রাউন্ডের পর উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছিল বিজেপি শিবিরে। তবে গণনা যত এগোয়, ততই অক্সিজেন পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির।
শুক্রবার পোস্টাল ব্যালট গণনায় এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়। বিজেপি আশা করেছিল, ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে যা ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির, এ বার তার থেকেও বেশি ভোটে জয় আসবে।
কিন্তু, তৃতীয় রাউন্ড থেকেই ঘুরতে শুরু করে অঙ্ক৷ তারপর পঞ্চম রাউন্ডে এসে ফের খানিকটা আশার আলো দেখে বিজেপি। তবে সপ্তম রাউন্ডের শেষে আবারও বিজেপি-কে টপকে যায় তৃণমূল। বেড়ে যায় ব্যবধানও। এখনও পর্যন্ত খবর, উপনির্বাচনে বিজেপির তাপসী রায়কে হারিয়ে জয়ী হলেন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়। জয়ের ব্যবধান ৪ হাজার ৪২৬ ভোট।
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের প্রয়াণে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন হয়। ভোটের ময়দানে যুযুধান তিনপক্ষই রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করেছে। ধূপগুড়িতে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোটের ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে উপনির্বাচনে।
এমনিতে, গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একটি উপনির্বাচনেও জয় পায়নি বিজেপি। বিধানসভা ভোটে জেতা জোড়া আসন দিনহাটা এবং শান্তিপুর উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে। ফলে ধূপগুড়ি ধরে রাখা ছিল দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
অন্য দিকে, একের পর এক উপনির্বাচনে জিতলেও শেষটিতে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। সাগরদিঘিতে জিতেছিল কংগ্রেস। পরে বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস অবশ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।