ফুটবল ম্যাচের উত্তেজনা গিয়ে পৌঁছাল থানায়। খেলার মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে প্রকাশ্যেই রেফারিকে লাথি মারলেন তৃণমূল নেতার ভাইপো রাজা খান। স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় মেদিনীপুরের ওল্ড প্রদীপ সংঘের মাঠে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটতেই ভাইরাল হয় ভিডিও। এরপরেই রাজাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই টুর্নামেন্টে রাজা খানের দলের খেলাই চলছিল। একটি গোল নিয়ে মাঠে উত্তেজনা বাড়ে। রেফারির ভূমিকায় থাকা লক্ষ্মণ মাণ্ডি তখন খড়গপুর সাব-ডিভিশন রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও পেশায় স্কুল শিক্ষক। হঠাৎই মাঠে ঢুকে রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজা। অনেকের আটকানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি রেফারির পেটে সজোরে লাথি মারেন।
ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের প্রশ্রয়ে শাসকদলের সমাজবিরোধীরা এভাবে বেপরোয়া। তিনি পুলিশকে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে ভোটের ময়দানে কমিশনকে আক্রমণ ও মাঠের রেফারিকে আক্রমণকে এক সূত্রে টেনে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন।
তবে অভিযুক্ত রাজা খানের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তাঁর কথায়, “রাজা খানের নাম কখনও দলীয় মিটিং-মিছিলে শোনা যায়নি। এই ঘটনা নিন্দনীয়। খেলার মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁকে মারধর করার ঘটনা আইনসিদ্ধ নয়। প্রশাসন আইন মেনেই ব্যবস্থা নেবে।”
ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়লেও আপাতত আইনানুগভাবেই তদন্ত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।