রাজধানী দিল্লিতে বাংলাভাষী এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও শিশুর উপর পুলিশের হাতে বর্বরতার অভিযোগে এবার কড়া পদক্ষেপের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।
তৃণমূলের দাবি, দিল্লির পুলিশ শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার কারণেই মালদহের বাসিন্দা ওই পরিবারকে বাংলাদেশি বলে হেনস্থা করে। শিশুকে চড় মারা হয়, স্ত্রীকে পেটে লাথি মেরে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলাতে চাওয়া হয়। দাবি করা হয় ২৫ হাজার টাকা।
ঘটনায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা সাজনুর বেওয়া। তাঁর অভিযোগ, আধার দেখতে চেয়ে পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ফোন কেড়ে নিয়ে, সাদা কাগজে জোর করে সই করানো হয়।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “এটা শুধু পুলিশি নিপীড়ন নয়, এর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করার পরই পরিবারকে চাপে রাখা হচ্ছে।”
মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দাবি করেন, তৃণমূল মিথ্যে প্রচার করছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও দিল্লির থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই পরিবারকে একটার পর একটা থানায় ঘোরানো হচ্ছে। আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, ওদের হুমকি দেওয়া হবে। সেটাই হয়েছে।”
তৃণমূল জানিয়েছে, নির্যাতিত পরিবার ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে ফিরে এসেছে। দলের তরফে তাঁদের থাকার ও সরকারি পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “অসম্মান নিয়ে বাইরে কাজ করার দরকার নেই। রাজ্যে ফিরে এলে মাথার উপর ছাদ, রেশন, স্বাস্থ্যসাথী ও কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ—সবই পাবেন।”
তৃণমূলের কটাক্ষ, দিল্লিতে শুধু ধর্ম নয়, ভাষার ভিত্তিতেও মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে এবার আইনি পথে এগোতে চলেছে দল।