টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে অবশেষে প্রকাশিত হল ত্রিপুরার নাগরীক নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ আসনই নিজেদের দখলেই রাখতে পেরেছে বিজেপি। তবে শত চেষ্টার পরেও তৃণমূলকে পুরোপুরি দমিয়ে রাখতে ব্যর্থ বিপ্লব দেব এর নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা বিজেপি।
মোট ৩৩৪ আসনের মধ্যে শাসক দল বিজেপি একাই জিতে নিয়েছে ৩২৯ টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ত্রিপুরা সিপিআইএম এর কপালে জুটেছে মাত্র ৩টি আসন। ত্রিপুরার স্থানীয় আঞ্চলিক দল টিপ্রা মোথা পেয়েছে ১টি আসন আর এবারের ত্রিপুরা নাগরীক নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তোলা তৃনমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ১টি আসন।
এবার ত্রিপুরা নির্বাচন নিয়ে ভোটের অনেক আগে থেকেই হওয়া গরম হয়েছিল পড়শী পরসি রাজ্যে। বাংলা জয়ের পর ত্রিপুরায় জোড়া ফুল ফোটাতে বদ্ধ পরিকর ছিল তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে বার বার ত্রিপুরা অভিযান করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে যতটা আশা করা গিয়েছিল ততটা ভাল হয়নি ভোটের ফল। আর এর জন্য ত্রিপুরায় বিজেপির লাগামহীন সন্ত্রাসকেই দায়ী করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে এই খারাপ ফলের মধ্যেও তৃনমূলের পক্ষে আশার আলো এটাই যে, ঘাসফুলের ভোট বাড়ছে ত্রিপুরায়। সেটা এবারের এই নির্বাচনের ফল থেকেই পরিষ্কার। একদিকে যেখানে ব্যাপক হারে ভোট কমছে বাম আর কংগ্রেস এর, সেখানেই একাধিক স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। যা অবশ্যই অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বিষয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য।
তৃণমূল বলছে, খেলা সবে ‘শুরু’ হল। জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) টুইট করে বলেছেন, তুচ্ছ উপস্থিতি থেকে শুরু করে পৌরসভা নির্বাচনে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাঁরা। ২০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়ায়, তাঁরাই এখন উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বলেও দাবি করেছেন তিনি। এটাকে ব্যর্থতা নয়, বরং ব্যতিক্রমী সাফল্য বলে বর্ণনা করেছেন অভিষেক। মাত্র ৩ মাসের প্রচেষ্টাতেই এই সাফল্য এসেছে বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র হত্যার অভিযোগও এনেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।