জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে শহিদ হলেন বাংলার দুই সাহসী সেনা জওয়ান। শহিদ দুই প্যারা কমান্ডো হলেন— মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ (৩৮) এবং বীরভূমের ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ (২৮)।
বুধবার দক্ষিণ অনন্তনাগের গাদুল এলাকায় সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চলাকালীন আচমকাই প্রবল তুষারঝড়ে অভিযানের দলটি বিপদে পড়ে। সেই সময় নিখোঁজ হন দুই বীর সেনা। চার দিন ধরে বরফাবৃত পাহাড়ি এলাকায় তল্লাশি চালানোর পর প্রথমে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার হন পলাশ, কিন্তু আইসিইউ-তে ভর্তি অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে উদ্ধার হয় সুজয়ের নিথর দেহ। শনিবার তাঁদের দেহ দুটি বাংলায় ফেরানোর কথা।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স (Twitter)-এ লেখেন —
“জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে প্রতিকূল আবহাওয়া ও তুষারধসে আমাদের বাংলার দুই সাহসী প্যারা-কমান্ডোর শহিদ হওয়ার ঘটনায় আমি শোকাহত। বীরভূমের ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ এবং মুর্শিদাবাদের ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষকে দেশরক্ষায় তাঁদের অসীম বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং আত্মত্যাগের জন্য আমার স্যালুট জানাই। তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই শোকের সময়ে আমাদের সরকার দুই পরিবারকেই সম্ভাব্য সকল সহায়তা করবে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকার শহিদ দুই পরিবারের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই জওয়ানের গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাঁদের প্রিয়জন আর ফিরবেন না। প্রতিবেশী থেকে সহযোদ্ধা— সকলে একবাক্যে বলছেন, “তাঁরা ছিলেন দেশের প্রকৃত রক্ষাকবচ।”