‘এসব খেলা খেলতে চাই না।’ সরকারি ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। আর সেখানেই সোনিয়া গান্ধী এবং শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ জানান। ছেড়ে দিলেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে৷ রাজ্যপালের কাছে সরকারি ভাবে ইস্তফা পত্র তুলে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত রাজভবনে সময় কাটান ঠাকরে। তবে এই দীর্ঘ সময়ে কি নিয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে আগামী সরকার না গঠন হওয়া পর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরে’কে দায়িত্ব সামলানোর কথা রাজ্যপাল জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
উদ্ধব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া নিয়ে আমার কোনও আফশোস নেই। আমি যা কিছু করেছি মারাঠা জাতি এবং হিন্দুত্বের স্বার্থে করেছি। সকলের সামনে আমি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার কথা জানিয়ে দিচ্ছি।’ যাঁদের সবকিছু দিয়েছি, আজ তাঁরা দূরে। যাঁদের কিছু দিই নি,তাঁরা আজ কাছে। কংগ্রেস এবং এনসিপি-কে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। সনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ।’
তাঁর অভিযোগ, ‘যাঁদের বড় করেছি, ক্ষমতা পেয়ে তাঁরাই ভুলে গিয়েছে। আপনারা যারা অখুশি, সুরাত-গুয়াহাটি না গিয়ে মাতোশ্রী আসতে পারতেন। রিকশা চালকদের মন্ত্রী-সাংসদ করেছি। তাঁরাই আজ ভুলে গিয়েছি। নিজের লোকেরাই বিশ্বাসঘাতক।’
অন্যদিকে শিবসেনা সুপ্রিমো’র ইস্তফা দেওয়ার পরেই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বিজেপি নেতারা। একে ওপরকে মিষ্টি খাওয়াতেই দেখা যায়। এমনকি বিজেপি নেতারা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশকেও মিষ্টি খাওয়ান। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মুম্বই। শুধু তাই নয়, কয়েকশ কোম্পানি বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন :
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোট, স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম করতে শিবসেনা
৮ ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা, আমি দিল্লি যাব, মমতা