কলকাতা: নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পগুলি আবারও আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্বারা প্রশংসিত। ইউনিসেফের তরফে এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের সামাজিক উন্নয়নে অবদানের প্রশংসা করা হয়েছে। কলকাতায় আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় পশ্চিমবঙ্গ ইউনিসেফের ফিল্ড অফিস প্রধান মনজুর হোসেন প্রকল্পগুলির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি জানান, সমাজের নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পগুলি একটি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।
হোসেন আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক উন্নয়ন ও নারীদের স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যের নারীরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বাধীন হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, যা রাজ্যের সামগ্রিক অগ্রগতিতে সহায়ক।
ইউনিসেফের এই প্রশংসা এমন সময়ে এসেছে যখন নারী নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে আলোচনা চলছে। এই স্বীকৃতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নারী ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টাকে আরও দৃঢ় করেছে। তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরাও এই প্রশংসার পরে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একটি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের যে সম্মান ও অধিকার দিয়েছেন, তা অতুলনীয়।” তিনি কাজী নজরুল ইসলামের ‘নারী’ কবিতার উল্লেখ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন, যা নারী ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাও প্রকল্পগুলির প্রশংসা করে বলেন, “‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নের পথকে আরও সুদৃঢ় করেছে। ইউনিসেফের এই স্বীকৃতি বাংলার নারী উন্নয়নের একটি নতুন মাইলফলক।”
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়েছে, “দেশের বাকি রাজ্যগুলিকে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। প্রতিদিন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।” ইউনিসেফের এই স্বীকৃতি বাংলার সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।