বিপর্যস্ত এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম। বুধবার সকাল থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হতে শুরু করে। সমস্যায় পড়ছিলেন যাত্রীরা। আমেরিকার এয়ারপোর্টেই আটকে পড়েন কয়েক লক্ষ যাত্রী। কী কারণে ওই বিমান-বিভ্রাট?
প্রাথমিক জানা গিয়েছে, আমেরিকার এটিসিতে বড়োসড়ো যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েছিল আর তার জেরেই ৫০ মিনিটের মধ্যে জরুরি অবতরণ করানো হয় সমস্ত বিমানকে। সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করে দ্রুত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশ জুড়ে আচমকাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমান পরিষেবা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে আমেরিকার আকাশ নো ফ্লাই জোন হয়ে যায়। এর জেরে অন্তত ১১০০ বিমানের উড়ান ব্যাহত হয়। বাতিল করা হয় ১৩০০ বিমানের পরিষেবা।
এর পরই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গোটা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা শুরু করে আমেরিকার উড়ান নিয়ামক সংস্থা। দিনভর ভোগান্তির পরে, ভারতীয় সময় সন্ধে ৭টার পরে ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, আমেরিকা জুড়ে ফের উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে।
তবে প্রযুক্তিগত গোলযোগের কথা বলা হলেও সাইবার হানার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না মার্কিন প্রশাসন। সূত্রের খবর, প্রযুক্তিগত ত্রুটিকেই প্রাথমিক ভাবে দায়ী করলেও সাইবার হানার আশঙ্কাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।