উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ৮ মে ঘটে যাওয়া হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট শনিবার প্রকাশ করল এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় পাইলট উত্তরকাশী-গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কে অবতরণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হেলিকপ্টারটি পাহাড়ি ঢাল বেয়ে নিচে পড়ে যায়।
এএআইবি-র রিপোর্টে উল্লেখ, অবতরণের সময় হেলিকপ্টারের মেন রোটর ব্লেড রাস্তাটির পাশে সমান্তরালভাবে টানা একটি ফাইবার কেবলে আঘাত করে। এরপর হেলিকপ্টারটি ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় ২৫০ ফুট গভীর গিরিখাতে গিয়ে একটি গাছে আটকে থামে। যদিও হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, আশ্চর্যের বিষয়—তাতে কোনও আগুন লাগেনি। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পাইলট-সহ ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
এএআইবি জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্ষণস্থায়ী প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের কিছু অংশও উদ্ধার করে বিশদ পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, প্রথম উদ্ধারকারীরা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলেছে তদন্তকারীরা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই তদন্তে সহায়তা করতে আমেরিকার এনটিএসবি ও কানাডার টিএসবি সংস্থার প্রতিনিধি ও টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসর নিয়োগ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, ওইদিন একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হেলিকপ্টার গঙ্গোত্রী মন্দিরে যাচ্ছিল। কিন্তু উত্তরকাশীর গঙ্গনানি এলাকায় সেটি ভেঙে পড়ে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট ক্যাপ্টেন রবিন সিংহ (৬০), কালা চন্দ্রকান্ত সোনি (৬১), বিজয়া লক্ষ্মী রেড্ডি (৫৭), রুচি আগরওয়াল (৫৬), রাধা আগরওয়াল (৭৯) ও বেদান্তী (৪৮)। একজন আরোহী আহত অবস্থায় উদ্ধার হন।