উত্তরকাশী: প্রায় ৪০০ ঘণ্টার অপেক্ষার অবসান। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হলেন ৪১ জন শ্রমিক। একেক জন শ্রমিককে বের করতে ৪-৫ মিনিট করে সময় লাগবে বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু উদ্ধারকাজ শুরু হতেই কাজ হল অত্যন্ত মসৃণ ভাবে। মাত্র ৩৮ মিনিট ২১ সেকেন্ডেই আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককেই উদ্ধার করা গেল। প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে অবসান হয়েছে ১৭ দিনের প্রতীক্ষার। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক ৪১ জন শ্রমিককে একে একে উদ্ধার করেছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র জওয়ানেরা। তাঁদের উদ্ধার করতে খোঁড়া ‘ইঁদুরের গর্ত’ (র্যাট-হোল মাইনিং) দিয়েই উদ্ধার করা হয় সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের।
৭টা ৫২ মিনিট নাগাদ সুড়ঙ্গ থেকে প্রথমে বেরিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের বিজয় হোরো। তার পরে একে একে বাকিরা। রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে শেষ হয় উদ্ধারকার। শ্রমিকরা সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে তাঁদের মালা, মিষ্টি এবং জয়ধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার ১৭ দিনের মধ্যে প্রথম বারের মতো তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত।
গত ১২ নভেম্বর থেকে ওই অন্ধকূপে আটকে ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের খাবার পাঠানো এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কাজ চলছিল নিরবচ্ছিন্ন ভাবে। তবে উদ্ধারকাজে একাধিক বার নেমে আসে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে সফল ভারতের সবচেয়ে বড়ো উদ্ধার অভিযান। উদ্ধারের পরে আগে থেকে তৈরি রাখা গ্রিন করিডর দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরকাশীর চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে।
এই উদ্ধার উদ্ধার অভিযানে হাতে গোনা কয়েক জন নয়, বহু মানুষের অবদান উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিক, প্রশাসনের কর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, বিদেশ থেকে আসা সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ- কে ছিলেন না? সুড়ঙ্গের অন্ধকার থেকে শ্রমিকদের ১৭ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার রাতে আলোয় ফেরানোয় অবদান অনেকের।