নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা পেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন আইন। এ ভাবে আইন বাতিল করাকে “খুব গুরুতর সমস্যা” বলে বর্ণনা করার পরেও সংসদে “কোনো ফিসফিসানি” ছিল না। শুক্রবার এমনই মন্তব্য উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের।
তিনি আরও বলেন, “সংসদে পাস করা কোনো আইন জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালতে তা বাতিল করা হয়েছিল। বিশ্বে এমন কোনো উদাহরণ নেই”।
সাংবিধানিক বিধির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, যখন আইনের একটি সারগর্ভ প্রশ্ন জড়িত থাকে, তখন বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে দেখা যেতে পারে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের উপস্থিতিতে ধনখর বলেন, “কোথাও বলা হয়নি যে একটি বিধান বাতিল করা যেতে পারে।”
দিল্লিতে এলএম সিংভি স্মারক বক্তৃতায় ভাষণ দিতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন যে সংবিধানের প্রস্তাবনায় “আমরা জনগণ” উল্লেখ আছে এবং সংসদ জনগণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। এর মানে ক্ষমতা জনগণের মধ্যে থাকে – তাঁদের জনমতই বিচার্য বিষয়।
তাঁর পরামর্শ, “দয়া করে বিশ্বের একটি সমান্তরাল খুঁজে বের করুন, যেখানে একটি সাংবিধানিক বিধান বাতিল করা যেতে পারে”।