উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন, “বিজেপি টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল। এক একজন সাংসদের ভোট কিনতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছে।”
মঙ্গলবার প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণন পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট, আর বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রার্থী সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। বাতিল হয়েছে ১৫টি ভোট। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন, ৩১৫ জন বিরোধী সাংসদ ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায় বিরোধী প্রার্থী পেয়েছেন ১৫ ভোট কম। উল্টো দিকে এনডিএ প্রার্থী প্রত্যাশিত ৪৩৭-এর থেকে ১৫ ভোট বেশি পান। এই অঙ্ক নিয়েই তৈরি হয়েছে ক্রস ভোটিংয়ের জল্পনা।
অভিষেক বলেন, “এটা বলা কঠিন, সত্যিই ক্রস ভোটিং হয়েছে নাকি বিরোধী পক্ষের ভোটগুলোই বাতিল হয়েছে। যেহেতু ভোট গোপন ব্যালটে হয়েছে, হাতে প্রমাণ নেই। তবে সংখ্যা দেখে সন্দেহ তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, আম আদমি পার্টির কয়েক জন সাংসদের ভোট বিজেপির দিকে গেছে। “ওরা নামেই আম আদমি পার্টির, আসলে বিজেপির লোক।”
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “বাংলায় টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়নি। বিজেপি জানে না, জনতার আবেগ কোনও পণ্য নয়। কিছু জনপ্রতিনিধি বিক্রি হতে পারেন, কিন্তু জনতা বিক্রি হয় না।”
অভিষেকের অভিযোগ খারিজ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁর কথার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। তবে উপরাষ্ট্রপতি ভোট দেখিয়ে দিল, এনডিএ ঐক্যবদ্ধ আর বিরোধীরা বিধ্বস্ত।”