গত সপ্তাহে সংসদে পাশ হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট আগামী ১৬ এপ্রিল। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতে একটি ক্যাভিয়েট (সতর্কতা আবেদন) দায়ের করেছে, যাতে বলা হয়েছে—সরকারের বক্তব্য না শুনে যেন কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ না দেওয়া হয়।
এখনও পর্যন্ত বিতর্কিত এই বিলের বিরুদ্ধে মোট ১৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই বিলের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলগুলি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় অংশ। লোকসভা ও রাজ্যসভায় টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায় এই আপত্তিগুলি উঠে এসেছিল। বিলটি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিণত হয়েছে।
নতুন আইনের বিতর্কিত ধারাগুলির মধ্যে অন্যতম হল—কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে বাধ্যতামূলকভাবে দু’জন অ-মুসলিম সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হল—যে কেউ ওয়াকফে সম্পত্তি দান করতে চাইলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালনকারী হতে হবে।
এ ছাড়া, নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনও সরকারি জমি যদি ওয়াকফ হিসাবে চিহ্নিত হয়, তা আর ওয়াকফের অধীনে থাকবে না—তার মালিকানা নির্ধারণ করবেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক (কালেক্টর)।
সরকার বারবার বলছে, এই আইন মোটেই ধর্ম নিয়ে নয়, সম্পত্তি ও তার ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, এই বিল তৈরির আগে বহু মানুষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং এটি অ-মুসলিম সংখ্যালঘুদের সমর্থনও পেয়েছে।
সরকারের মতে, ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে তা দরিদ্র, বিশেষত মহিলা ও শিশুদের কাজে আসেনি। এই সংশোধনী আইন সেই অভাব দূর করবে।
সরকারের আরও অভিযোগ, কংগ্রেসের তোষণমূলক রাজনীতির কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ জমি ও সম্পত্তি ওয়াকফের হাতে চলে গিয়েছিল।