লোকসভায় নির্বিঘ্নে পাস হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভায় অনুমোদন পেল ওয়াক্ফ বিল। দীর্ঘ বিতর্কের পর ভোটাভুটিতে ১২৮টি ভোট পড়েছে বিলের পক্ষে, আর ৯৫টি ভোট এসেছে বিপক্ষে।
ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল তার সাতজন সাংসদকে স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেয়, জানিয়ে দেয় দলীয় হুইপ মানার প্রয়োজন নেই। দলের প্রবীণ নেতা সুস্মিত পাত্র ‘এক্স’ পোস্টে জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অংশের মতামত বিবেচনা করেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রত্যাশিতভাবেই বিতর্কের মূল বিষয়গুলো ছিল সংখ্যালঘুদের স্বার্থ। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আলোচনা শুরু করে জানান, বিলটি মুসলিম স্বার্থের বিরুদ্ধে নয় এবং ওয়াক্ফ বোর্ডের কার্যক্রমে অ-মুসলিমরা কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, কারণ ব্যবস্থাপনা, সৃষ্টির অধিকার ও সুবিধাভোগীদের তালিকায় শুধুমাত্র মুসলিমরা থাকবেন।
তিনি বলেন, এই বিল ধর্ম নয়, সম্পত্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য এবং দুর্নীতি রোধের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সম্পত্তিকে ওয়াক্ফ ঘোষণা করার আগে মালিকানার প্রমাণ লাগবে। আগে ওয়াক্ফ বোর্ড দাবি করলেই তা ওয়াক্ফ সম্পত্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেত, যা এই সংশোধনের ফলে আর সম্ভব হবে না।
কিরেন রিজিজু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগের দিন উল্লেখ করেছিলেন, ওয়াক্ফ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে দিল্লির লুটিয়েনস জোনের কিছু জমি, তামিলনাড়ুর ৪০০ বছরের পুরনো এক মন্দির, একটি পাঁচ তারা হোটেলের জন্য নির্ধারিত জমি এবং পুরনো সংসদ ভবনও।
বুধবার রাতভর ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার ভোরে লোকসভায় ২৮৮-২৩২ ভোটে বিলটি পাস হয়।
১৯৯৫ সালের ওয়াক্ফ আইন সংশোধনের জন্য আনা এই বিলটি এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।