কলকাতা: শুক্রবার সকালে আরজি করের ইমার্জেন্সি বিভাগের চার তলায় সেমিনার হল থেকে তরুণীর চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। উঠছে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। তার মধ্যেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক তদন্তের পর দিলেন বিস্ফোরক তথ্য।
অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ। তবে চিকিৎসকের মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ‘অর্ধনগ্ন’ অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারের দেহ পড়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, তাঁদের ফোন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, যতটা সম্ভব, তিনি ‘চেষ্টা’ করবেন।
এরই মধ্যে আরজি করে আসা ফরেনসিক টিমের কর্তা এস কে সাহার কথায়, “আমরা যেটা দেখলাম, ঠোঁটে, গালে, গলায় মার্ক রয়েছে। দেহ চিৎ অবস্থায় ছিল, শোয়ানো ছিল। আমরা যখন গিয়েছিলাম, দেহ পুরো কভার ছিল।” দেহে পোশাক না থাকার একটা অভিযোগ উঠছে। সে বিষয়ে ফরেনসিক কর্তা বলেন, “চাদর চাপা ছিল। আমরা তো চাদর সরিয়ে দেখিনি। তাই পোশাক ছিল কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, সকাল সাড়ে ১১ টার সময় চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ। চেস্ট মেডিসিন বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়া ওই মহিলা চিকিৎসক বৃহস্পতিবার হাসপাতালে নাইট ডিউটি করছিলেন। রাত ১২টার পর বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারও করেন তিনি। তারপর থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।