অবশেষে কোনও অশান্তি বা বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শেষ হল নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়ে বসা অন্তত ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর পর, রবিবারের এই পরীক্ষা ছিল রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) প্রথম উদ্যোগ।
রাজ্যের ৬৩৬টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ শুরু করেন। প্রবেশের আগে নথি যাচাই করা হয়। অ্যাডমিট কার্ডে নকল রুখতে এ বার বিশেষ বার কোড স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। প্রশ্নফাঁস আটকাতেও কমিশন একাধিক পদক্ষেপ করে। শনিবারই কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, প্রশ্নপত্রে ছবি তুলে ফাঁসের চেষ্টা করলে তা ধরা সম্ভব হবে। কমিশন সূত্রে খবর, এদিন কোথাও কোনও প্রশ্নফাঁস হয়নি।
পরীক্ষা শেষের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু X (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে পরীক্ষার্থী, আধিকারিক এবং স্কুলশিক্ষা দপ্তরের সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি লেখেন—“আজ রাজ্যের ৬৩৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। নবম-দশম শ্রেণির এসএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। পরীক্ষার্থী, আধিকারিক, স্কুলশিক্ষা দপ্তর-সহ সমস্ত আধিকারিককে শুভেচ্ছা জানাই।”
তিনি আরও জানান, আগামী রবিবারের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা যাতে স্বচ্ছ ও নির্বিঘ্নে হয়, সে জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সহযোগিতা কামনা করছেন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে দু’দফায় পরীক্ষা আয়োজন করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রথম দফা পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ায় কমিশনের মধ্যে স্বস্তি ফেরে।