মৃত ব্যক্তির আধার নিষ্ক্রিয়করণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI)। আগামী ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গেও পরিবারের সদস্যরাই অনলাইনে মৃত ব্যক্তির আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারবেন। এতদিন রাজ্যে এই নিয়ম কার্যকর না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই মৃত ব্যক্তির আধার সক্রিয় রয়ে যেত, ফলে দুর্নীতি ও কারসাজির সম্ভাবনা তৈরি হতো। নতুন নিয়ম চালু হলে এই ধরনের অনিয়ম অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী প্রশাসন।
দেশের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই মৃত ব্যক্তির আধার নিষ্ক্রিয়করণের প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। তবে UIDAI নিজে থেকে কোনও আধার নিষ্ক্রিয় করে না—তাই পরিবারকেই এই দায়ভার নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এতদিন মৃতের আধার নিষ্ক্রিয় করতে আলাদা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হত, যা ছিল সময়সাপেক্ষ এবং অস্বচ্ছ। অভিযোগ উঠেছিল, বহু ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির আধার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ঘটছে। সেই কারণেই দ্রুত পশ্চিমবঙ্গেও নতুন ডিজিটাল প্রক্রিয়া চালু করা হচ্ছে।
কীভাবে নিষ্ক্রিয় করবেন আধার
মৃত ব্যক্তির আধার নিষ্ক্রিয় করতে পরিবারের সদস্যকে UIDAI–এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে।
প্রয়োজন হবে—
- মৃত ব্যক্তির মৃত্যু শংসাপত্র,
- আধার কার্ড,
- আবেদনকারীর আধার–সংযুক্ত মোবাইল নম্বর।
আবেদন জানাতে পারবেন মৃতের—
বাবা, মা, স্ত্রী, স্বামী, সন্তান, সহোদর ভাই–বোন অথবা আইনসম্মত অভিভাবক। প্রতিবেশী বা সাধারণ পরিচিত কেউ আবেদন করতে পারবেন না।
ওয়েবসাইট বা ‘মাই আধার’ অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য জমা দিলে মোবাইল নম্বরে OTP যাবে। আবেদন গৃহীত হলে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আধার নিষ্ক্রিয় করা হবে।
ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তীসগড়, হরিয়ানা, জম্মু–কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশসহ বহু রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গও।
প্রশাসনের দাবি, এই প্রক্রিয়া চালু হলে মৃত ব্যক্তির আধার ব্যবহার করে ভুয়ো সুবিধা গ্রহণ, আর্থিক কারচুপি বা সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির সম্ভাবনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।