বাংলার ১১ লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১০২ কোটি টাকা! জোর প্রস্তুতি নবান্নের

কলকাতা: ২০২৩ সালের খরিফ মরশুমের শেষে ক্ষতিপূরণ বাবদ বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের অধীনে থাকা বাংলার ১১ লক্ষ কৃষকের অ্য়াকাউন্টে ১০২ কোটি টাকা পাঠাতে চলেছে রাজ্য় সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, শীঘ্রই এই টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটি মডেল হয়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই শস্য বিমান প্রকল্প। তাঁরই নেতৃত্বে রাজ্যের কৃষকদের আয় তিন গুণ বেড়েছে। এ ধরনের প্রকল্পের জন্য বাংলার কৃষকদের আর বিপাকে পড়তে হয় না। খরিফ মরশুমের শেষের ক্ষতিপূরণ শীঘ্রই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে পাঠানো নিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল বাংলা শস্য বিমা, কৃষক বন্ধু প্রকল্প, কৃষি পরিকাঠামো তহবিল। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্য়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের সাহায্য করা হয়। পাশাপাশি কোনও কারণে যদি কৃষক চাষাবাদ না করতে পারে সেক্ষেত্রেও দেওয়া হয়ে থাকে ক্ষতিপূরণ। রাজ্য সরকার কৃষকদের হয়ে এই বিমার প্রিমিয়াম দিয়ে থাকেন।

শস্য বিমা প্রকল্পে নাম লেখাতে বরাবরই রাজ্যের কৃষকদের উৎসাহ জুগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এলাকায় সেই নিয়ে প্রচার অভিযানও চালানো হয়, যাতে গ্রামের মানুষজনের কাছেও রাজ্যের এই প্রকল্প পৌঁছে যায়। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত থাকলে ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকটাই রক্ষা পান কৃষকরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ফসল নষ্ট হলে, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পান তাঁরা। রাজ্য সরকাররে এই প্রকল্প বিশেষজ্ঞ মহল থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Related posts

‘যাঁরা বলতেন বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, আজ তাঁরাই উদ্বোধন করছেন’— অমিত শাহকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ, মঞ্চ থেকেই বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের ডাক

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?