কলকাতা: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানের জেরে তছনছ প্রতিবেশি রাজ্য সিকিমের একাংশ। জলস্তর বাড়ছে তিস্তা নদীতে। পাশাপাশি জলমগ্ন এরাজ্যের উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে জরুরি বৈঠক করলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই মন্ত্রী, আইএএস আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কর্মী ও আধিকারিকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এক বৈঠকে টেলিফোনে এই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। কন্ট্রোল রুম খোলারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নদী তীরবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেন, “সিকিমের এই বিপর্যয়ের ফলে দার্জিলিঙে, কালিম্পঙের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যখনই জলের স্রোত নিয়ন্ত্রিত হবে, তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করব। প্রাথমিকভাবে সব থেকে বড় কাজ, মানুষকে উদ্ধার করা। দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি বেশি প্রভাবিত হয়েছে। ওই সব এলাকা থেকে প্রচুর মানুষকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “সেচ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলায় দফতরও সক্রিয়। পূর্ত দফতর, রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, স্বাস্থ্য দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে। আপাতত সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও পঞ্চায়েত, পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতকেও নজর রাখতে বলেছি। জলপাইগুড়ি নিয়ে একটা শঙ্কা রয়েছে। উদয়ন গুহকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছি।”
তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গেও দুর্যোগের পূর্বাভাস রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা-সহ আশপাশের জেলাগুলিতে একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এই দুই জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা।