কলকাতা: থমকে রয়েছে ১০০ দিনের প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের। এমন পরিস্থিতিতে নথিভুক্তদের জন্য বড়ো সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।
১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যের বকেয়া টাকা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে কয়েক মাস ধরেই। দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার পরেও কাটেনি জট।
এমন অবস্থায় ১০০ দিনের কাজে যাঁরা নথিভুক্ত, তাঁদের জন্য বড়ো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গত মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্তের পর এ বার রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের জন্য যাঁরা নথিভুক্ত, তাঁদেরকে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দফতরে কাজে লাগাতে। বিভিন্ন আনস্কিলড লেবারদের কাজ তথা প্রশিক্ষণহীন কর্মচারী হিসেবে বিভিন্ন সরকাারি দফতরের কাজে ১০০ দিনের কাজে নথিভুক্তদের ব্যবহার করা হবে। কোন বিভাগে কতজনকে কাজে লাগানো হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবেন প্রতিটি বিভাগের নোডাল অফিসার। পাশাপাশি নথিভুক্তরা ঠিক সময়ে কাজ পাচ্ছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অফিসারদের কাজে লাগানো হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
জানা গিয়েছে, রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এরা সবই আনস্কিলড লেবার বা অদক্ষ শ্রমিক। মূলত ১৬টি সরকারি দফতর থেকে এই জবকার্ড হোল্ডার অদক্ষ শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকর্তা ধরমবীর ঝা রাজ্যের পঞ্চয়েত সচিব পি উল্গানাথনকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, চিঠিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দিতে নারাজ দিল্লি।
আরও পড়ুন: সঠিক সময়ে ডিএ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, আশ্বাস শোভনদেবের