প্রথম পাতা খবর এসআইআর শুনানি পর্বে কড়া নজরদারি, পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রো অবজার্ভার হিসাবে কেন্দ্রীয় আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের

এসআইআর শুনানি পর্বে কড়া নজরদারি, পশ্চিমবঙ্গে মাইক্রো অবজার্ভার হিসাবে কেন্দ্রীয় আধিকারিক নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের

10 views
A+A-
Reset

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার (এসআইআর) শুনানি পর্বে নজরদারি আরও কড়া করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার সকালে কমিশনের নির্দেশে জানানো হয়েছে, এসআইআর-এর শুনানি পর্বের তদারকি করবেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকেরা। বিভিন্ন শুনানিকেন্দ্রে তাঁদের মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হবে।

কমিশন সূত্রে খবর, মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রুপ বি বা তার ঊর্ধ্বতন স্তরের আধিকারিকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর ও প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হতে পারে। এসআইআর শুনানি পর্বে নজরদারির জন্য প্রত্যেক মাইক্রো অবজ়ার্ভারকে ৩০ হাজার টাকা করে সাম্মানিক দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগের অনুমতি চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর। শুক্রবার সেই চিঠির জবাবেই কমিশন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা থেকে আধিকারিক নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।

মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের মূল দায়িত্ব হবে এসআইআর-এর শুনানি পর্বে নির্বাচনী আধিকারিক (ইআরও) এবং সহকারী নির্বাচনী আধিকারিকদের (এইআরও) কাজের উপর নজর রাখা। পাশাপাশি, ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও সংশোধনের কাজে সহযোগিতা করবেন তাঁরা। এই আধিকারিকেরা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অধীনেই কাজ করবেন এবং তাঁদের প্রশিক্ষণও দেবে সিইও দফতর।

শুনানি চলাকালীন এনুমারেশন ফর্ম, ভোটারদের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র, পাশাপাশি শুনানিতে হাজির হওয়া ভোটারদের জমা দেওয়া নথি যাচাই করবেন মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরা। ভোটার তালিকায় কোনও অসঙ্গতি থাকলে তা চিহ্নিত করা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ করাও তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে থাকবে। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা ও যাতায়াতের সমস্ত বন্দোবস্ত করবে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা (ডিইও)।

প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর এসআইআর-এর এনুমারেশন পর্ব শেষ হওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এর পর বৃহস্পতিবার থেকেই শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা কার্যত শুরু হয়নি। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই ভোটারদের শুনানির নোটিস পাঠানো হবে।

কমিশনের তালিকায় ৩০ লক্ষেরও বেশি ভোটারকে ‘নো ম্যাপিং’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই নিজেদের যোগসূত্র প্রমাণ করতে পারেননি। এই সব ভোটারকে বাধ্যতামূলক ভাবে শুনানিতে ডাকা হবে। পাশাপাশি, আরও লক্ষাধিক ভোটারের তথ্য কমিশনের কাছে সন্দেহজনক বলে বিবেচিত হয়েছে। তাঁদেরও শুনানির মুখোমুখি হতে হবে।

এসআইআর-এর এই শুনানি পর্বে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপস্থিতি রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নজরদারি আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে নির্বাচন কমিশন।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.