নভেম্বরের শেষ প্রান্তেও শীতের দাপট এখনও তেমনভাবে টের পাওয়া যাচ্ছে না রাজ্যে। রাতের দিকে সামান্য ঠান্ডা থাকলেও দিনের বেলা তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকায় অনেকেই ভাবছেন, ডিসেম্বরের শুরুতেই কি জাঁকিয়ে শীত ফিরবে? আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আরও কয়েক দিনের ধৈর্যের প্রয়োজন।
হাওয়া অফিসের হিসেব বলছে, আগামী দু’দিন তাপমাত্রায় খুব একটা ওঠানামা হবে না। তবে তার পরে ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে শুরু করবে। ফলে ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই রাজ্যে শীতের আমেজ বেশ প্রকট হতে পারে।
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভোরের দিকে কুয়াশার দাপট দেখা যেতে পারে। কোথাও হালকা, কোথাও আবার মাঝারি স্তরের কুয়াশায় ঢাকা থাকতে পারে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে ২০০ মিটার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে কিছু জায়গায়, যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছে—সতর্কতা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপাতত রাজ্যে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও আশ্বস্ত করেছে তারা।
এই সময়েই নজর ছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দিটওয়া’য়। ভারতীয় উপকূলের আরও কাছাকাছি চলে আসার পর তার গতিপথ নতুন করে বিশ্লেষণ করেছে মৌসম ভবন। রবিবার সকালে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দিটওয়া স্থলভাগে আঘাত হানবে না। সমুদ্রপথেই উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে পরে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ায় এর কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতের দাপট বাড়ার সম্ভাবনা জোরালো হলেও এখনই রাজ্যে কুয়াশা এবং হালকা ঠান্ডার মেলবন্ধনেই দিন কাটাতে হবে।