বৃষ্টির হাত ধরে তাপদাহে সামান্য স্বস্তি পেল দক্ষিণবঙ্গ। এরই মধ্যে সুখবর দিল মৌসম ভবন। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই, ২৭ মে নাগাদ কেরালায় পা রাখতে পারে বর্ষা—এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ পাঁচ দিন আগেই হাজির হতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
সোমবার দক্ষিণবঙ্গের অন্তত সাতটি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি। কলকাতার তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি থাকলেও, গুমোট গরমে অস্বস্তি ছিল চরমে। তবে সন্ধে হতেই বদল আসে আবহাওয়ায়। রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে কলকাতার পারদ নেমে আসে ৩১.৮ ডিগ্রিতে। দমদমেও ৪০.৩ ডিগ্রি থেকে নামল ৩১.৩ ডিগ্রি পর্যন্ত।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখনই বড় কোনও ওয়েদার সিস্টেম নেই দক্ষিণবঙ্গের ওপর। তবে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে। সেই থেকেই গড়ে উঠছে স্থানীয় বজ্রগর্ভ মেঘ, যার ফলে হচ্ছে হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি।
সোমবার রাতের ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে অনেকটাই নেমে এসেছে তাপমাত্রা। শুধু কলকাতা নয়, পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেরও বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির দাপট লক্ষ্য করা গেছে।
আগামী কয়েক দিন এই ধরনের আবহাওয়া চলবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরম থেকে পুরোপুরি মুক্তি এখনও আসেনি। বর্ষার আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা।