Deprecated: Creation of dynamic property Penci_AMP_Post_Template::$ID is deprecated in /home/ndn4dljdt13e/public_html/newsonly24.com/wp-content/plugins/penci-soledad-amp/includes/class-amp-post-template.php on line 46

Deprecated: Creation of dynamic property Penci_AMP_Post_Template::$post is deprecated in /home/ndn4dljdt13e/public_html/newsonly24.com/wp-content/plugins/penci-soledad-amp/includes/class-amp-post-template.php on line 47
দলত্যাগী নেতা-বিধায়কদের বাড়া ভাতে ছাই পড়বে না তো? - NewsOnly24

দলত্যাগী নেতা-বিধায়কদের বাড়া ভাতে ছাই পড়বে না তো?

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমণের প্রভাব না কাটলেও আমরা সেই গোড়ার দিকের ঘরবন্দি দশা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছি। লকডাউন পর্বের পর ‘আনলক’ পর্ব শুরু হতেই একটু একটু করে স্বাভাবিকতার পথে পা বাড়িয়েছি। একে বলে ‘নিউ নর্মাল’ বা নব্য স্বাভাবিকতা। আর এই নব্য স্বাভাবিকতার সময় সাধারণের মানুষের আড্ডায় যতটা না উঠে আসছে করোনা প্রসঙ্গ, তার চেয়ে অনেক বেশি উঠে আসছে রাজ্য রাজনীতিতে হঠাৎ করে চাগাড় দিয়ে ওঠা দলবদলের প্রসঙ্গ।

এটা ঠিক, আগেকার মতো পাড়ায় পাড়ায় আড্ডা জমে ওঠার পরিস্থিতি এখনও সে ভাবে আসেনি, চায়ের কাপে তুফানও উঠছে না। তবে বাসে-ট্রেনে টুকটাক আলাপ চলছে, পাড়ার ক্লাবে সান্ধ্যকালীন আড্ডার আসর মাঝেমাঝে বসছে, বাড়িতেও বন্ধুবান্ধবের আনাগোনা চলছে। সেই সব আসরে কথায় কথায় অবধারিত ভাবে উঠে আসছে দলবদলের প্রসঙ্গ।

আর এই দলবদলের গতি মূলত একটাই দিকে। দলত্যাগীরা ভিড়ছেন কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিতে। দলত্যাগ হচ্ছে মূলত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে। সিপিএম বা অন্য বাম দল কিংবা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ভেড়ার ঘটনা যে ঘটছে না তা নয়, কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে এদের প্রাসঙ্গিকতা এখন এতটাই কম যে এ দিকে নজর সে ভাবে কারও পড়ছে না।

মুকুল রায় বা অর্জুন সিংযের মতো নেতারাও এক সময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তখন সে ভাবে কোনো ঢেউ ওঠেনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলত্যাগের। কিন্তু হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যে একে একে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির খাতায় নাম লেখাতে শুরু করলেন। কারা কারা বিজেপিতে ভিড়েছেন আর কারা কারা ভেড়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন, সে নামগুলো এখানে অবান্তর, সে সব নাম বহুচর্চিত এবং এই একটা কারণে গত কয়েক দিন ধরে তাঁরা যথেষ্ট প্রচারের আলোয় রয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ে এতটা আলোয় থাকেন না।

কিন্তু প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলত্যাগের হিড়িক পড়ল কেন? প্রায় দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কী এমন ঘটল যে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনা, দলে গুরুত্ব না পাওয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে আসছে। সাধারণের আড্ডায়, রাজনৈতিক তরজার আসরে এই প্রশ্নটাই বার বার উঠে আসছে। সাধারণ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। একটু তলিয়ে ভাবলে তাঁরা এর উত্তরও পেয়ে যাবেন।

আসলে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলত্যাগের হিড়িকের একটা বড়ো কারণ হচ্ছে ‘সময়’। আর কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচন। অনেকেই ভাবছেন, দু’ দফায় ক্ষমতায় থাকার পরে এ বার তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা বেকায়দায়। এই ভাবনার শরিক শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা ও বিধায়কও। এবং তাঁরাই ঝোপ বুঝে কোপ মারার পথ ধরছেন। তাঁরা ভাবছেন, বিজেপি শিবিরে নাম লেখালে তাঁদের ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ পরিষ্কার থাকবে।

একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দেওয়া ভালো। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসা এবং ২০১৬ সালে সেই ক্ষমতাটা ধরে রাখার কৃতিত্বটা কিন্তু যতটা তৃণমূল কংগ্রেস দলের, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেয় সেই দলকে দেখে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। তাঁর লড়াকু মনোভাব, প্রতিটি পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার এবং আপদে-বিপদে তাঁদের কাছে ছুটে যাওয়ার যে গুণ তাঁর রয়েছে, সেই গুণের ফসল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাধারণের মধ্যে একটা কথা চালু আছে – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে একটা ল্যাম্পপোস্টকে দাঁড় করিয়ে দিলে সে-ও জিতে যাবে। এটা হয়তো কথার কথা। কিন্তু এর প্রমাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব নির্বাচনেই দিয়েছেন। রাজনীতির সঙ্গে বিন্দুমাত্র সংশ্রব নেই, এমন মানুষকে তিনি স্বচ্ছন্দে ভোটের ময়দানে জিতিয়ে এনেছেন।

যে নেতা-বিধায়করা আজ ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার আশায় বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁদের বোধহয় একটা কথা মনে রাখা উচিত – তাঁদের জয়ের পিছনে একটা বড়ো কারণ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ছাতা না থাকলে তাঁরা নিজেদের জোরে ভোটে জিততে ক্ষমতায় আসতে পারতেন কি না সন্দেহ। তাই সাধারণের আড্ডায় বার বার এই প্রশ্নটাই উঠে আসছে, ওই দলত্যাগী সব নেতা-বিধায়কের বাড়া ভাতে শেষ পর্যন্ত ছাই পড়বে না তো?

Related posts

রাজ্যজুড়ে হালকা শীতের আমেজ বজায়, ২২ তারিখের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা

রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়ে অসমেও ‘বিশেষ সংশোধন’! কমিশন ‘SR’ বললেও বকলমে ‘SIR’ বলছে বিরোধীরা

হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর ভারতের প্রতিক্রিয়া: শান্তি–স্থিতিশীলতার বার্তা দিল্লির