এবার কলকাতার মেয়র কে? এবারও কী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের ভাগ্য়েই শিকে ছিঁড়বে! নাকি মেয়রের চেয়ারে দেখা যাবে নতুন কোনও মুখ! এবার যে কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল অত্য়ন্ত মসৃন জয় পাবে, তা নিয়ে কারও মনেই ছিল না কোনও রকম সংসয়। তবে এবার কলকাতার মেয়র হবেন কে? এই নিয়ে কিন্ত নির্বাচনের আগের থেকেই চলে আসছে কানা ঘুষো।
আসলে এবার শোনা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস দলের মধ্য় পিকের তৈরি করা নতুন নীতি এক দল এক পদ অনুশরণ করবে। সেই নীতি অনুশরণ করতে গেলে এবার পুরনির্বাচনে টিকিট পাওয়ার কথা ছিল না অনেকেরই। আর টিকিট না পাওয়ার সেই তালিকায় নাম ছিল ফিরহাদ হাকিমেরও। তবে শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপেই নাকি বদলে যায় প্রার্থী তালিকা। নতুন প্রার্থী তালিকায় যুক্ত হন ফিরহাদ হাকিম সহ ছয় বিধায়ক এবং এক সাংসদ।
স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর এভাবে উদ্য়োগ নেওয়ার পর তৃণমূলেরই অন্দরে শুরু হয় জল্পনা। অনেকেই মনে করতে শুরু করেন, আসলে ফিরহাদ হাকিমকেই ফের একবার মেয়র পদে বসানোর ভাবনা নিশ্চয় কাজ করছে নেত্রীর মনে। আর সেই কারণেই ওইভাবে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী তালিকায় রদবদল। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় রদবদল ঘটলেও, তৃণমূলের তরফে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে কিন্তু ঘুনাক্ষরেও এই আভাষ দেওয়া হয়নি যে, এবার কলকাতার মেয়র পদে বসতে চলেছে কে?
তবে পুরভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরে তথ্য়ভিজ্ঞ মহলের ধারণা, এবারও পাল্লা ভারি ববির। কারণ ববি এবারও যেমন নিজে ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন। তেমনি তিনি যে এলাকার বিধায়ক, সেই বন্দর এলাকাতেও সব ওয়ার্ডেই তৃণমূলকে জিতিয়েছেন। ফলে পারফরমেন্সের বিচারে অন্তত ববি এখনও পর্যন্ত একশোয় একশো পেয়ে সসম্মানে উত্তির্ণ হয়েছেন। তবে যেহেতু দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখানে আগেভাগে কিছু অনুমান করাটাই বোকামি। শেষ পর্যন্ত মেয়রের চেয়ারে কে বসবেন সেটা নিশ্চয়ই ইতিমধ্য়েই স্থির করে ফেলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা। তবে এটা বোধহয় বলা যেতেই পারে, মেয়র পদে অ্য়াডভান্টেজ ববি।