কলকাতা পুরভোটের গণনাকে কেন্দ্র করে হিংসার ছবি দেখল কলকাতা। নেতাজী ইন্ডোরের সামনে এদিন কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদেরকে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে সামাল দিতে নামাতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। এদিন এই অশান্তির জন্য় কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রবিবার কলকাতা পুরসভার ভোট গ্রহণের দিনও অল্প বিস্তর অশান্তির ছবি ফুটে উঠতে দেখা গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি সেভাবে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে দেখা যায়নি কোথাওই। শিয়ালদহ এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু বোমাবাজির ঘটনার অভিযোগ ছাড়া মোটের উপর সেদিনের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল প্রায় স্বাভাবিক। অন্তত তেমনটাই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে গণনার দিন সকালে এড়ানো গেল না রাজনৈতিক ঝামেলা।
এদিন গণনা পর্ব শুরুর সময় থেকেই নেতাজি ইন্ডোরের সামনে বেশ ভালমতন জমায়েত লক্ষ্য করা যায়। এই গণনা কেন্দ্রে মূলত ৩ থেকে ৬ নম্বর বরোর বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোট গণনা করা হয়। গণনার সময় সব থেকে উত্তেজনা তৈরি হয় ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডকে কেন্দ্র করে। এই ওয়ার্ডে শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের এই ঝড়ের মধ্য়েও জয় প্রায় ছিনিয়ে নেন কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। আর তার ঠিক পরপরই তুঙ্গে ওঠে উত্তেজনা। শুরু হয় বচসা ও হাতাহাতি।
এদিন কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্য়ে এই ঝামেলা পর্ব শুরুর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা বিশাল পুলিশ বাহিনী। মারমুখী উভয় পক্ষকে শান্ত করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায় পুলিশের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানান হয়, পায়ে পা লাগিয়ে ঝামেলা বাধায় কংগ্রেসের ছেলেরা। একটা মাত্র ওয়ার্ডে জয়ী হয়েই কংগ্রেস অতিরিক্ত উত্তেজনা প্রকাশ করে। তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেসেল লোকজন ধৈর্য দেখিয়েছে। অপরদিকে কংগ্রেসের দাবি, অনেক চেষ্টার পরেও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠককে পরাজিত করতে না পেরে হতাশার জায়গা থেকেই এভাবে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে নিজেদের গায়ের জ্বালা মেটানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরাও তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে কাজ করে এবং কংগ্রেসের কর্মীদেরকেই দোষি চিহ্নিত করে বলেও অভিযোগ আনে কংগ্রেস।