কলকাতা: নিট এবং নেট-এর মতো সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ঘিরে অভিযোগের অন্ত নেই। ইতিমধ্যে নেট বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু প্রশ্নফাঁস থেকে ফলাফলে দুর্নীতির জোরালো অভিযোগ উঠলেও নিট নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিলেও বাতিলের পথে হাঁটেনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। কী কারণে?
এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে সীমিত সংখ্যক পরীক্ষার্থীই প্রভাবিত হয়েছে। নিট পরীক্ষা বাতিল করা হলে লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী, যারা নায্য ও সৎ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তারা প্রভাবিত হবে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ২০০৪ ও ২০১৫ সালে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। কিন্তু সেবার কেলেঙ্কারির মাত্রা ছিল ব্যাপক। এবারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও তা অল্পসংখ্যক পড়ুয়াদের কাছেই পৌঁছেছে। ফলে এবার নিট পরীক্ষা বাতিল করা হয়, তবে লক্ষাধিক পডুয়া প্রভাবিত হবে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু মামলা চলছে তাই শীর্ষ আদালত এবিষয়ে যে রায় দেবে সেটাই চূড়ান্ত হবে।
নিট-র তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “বিহার পুলিশের সঙ্গে আমরা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি। আমরা ওদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ করব। সিস্টেমে ভরসা রাখুন। কোনও ধরনের বেআইনি কাজ বরদাস্ত করবে না সরকার।”