নয়াদিল্লি: বাংলায় ঢের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা জনপ্রতিনিধিদের ৪০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছেন। অথচ ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এতদিন লেগে গেল বিজেপি-র। আদৌ মহিলাদের নিয়ে চিন্তিত বিজেপি, না কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে? সংসদের বিশেষ অধিবেশনের তৃতীয় দিন মহিলা সংরক্ষণ বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে, এমনটাই জানলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্ব দাবি করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আমাদের রাজ্য দেখে গোটা দেশের শেখা উচিত। পারলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ৪০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ করে দেখান। গোটা দেশের মধ্যে বাংলায় মহিলারা সব থেকে বেশি সুরক্ষিত।’
তাঁর মতে, দেশের একমাত্র রাজ্য বাংলা, যেখানে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ১৬টি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। কিন্তু, একটি জায়গাতেও কোনও মহিলাকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি গেরুয়া শিবির। এ দিকে, ২০১৪ সাল থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস দলের অন্দরে ৩৩ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ রয়েছে মহিলাদের জন্য। বিধানসভা, লোকসভা, বাংলার মন্ত্রীসভা – সব জায়গাতেই তৃণমূল মহিলা সদস্যদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম যখন এই বিলের বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেই সময় থেকেই এই বিলকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবগৌড়া সরকার সেই সময় বিলটি বিবেচনার জন্য সিপিআই সাংসদ গীতা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সংসদীয় প্যানেলে পাঠিয়েছিল। সেই, সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গ, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেছে মোদি সরকার। এর আওতায়, প্রতিটি নিবার্চনে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির এক তৃতীয়াংশ আসন ‘মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে বার বার এই বিল সংসদে উঠলেও, একবারও কারণে তা পাস করানো যায়নি। এমনকি এই বিজেপি-ই একসময় মহিলা সংরক্ষণ বিলের বিরোধিতা করেছিল বলেও এ দিন সংসদে মন্তব্য করেন কাকলি।