“ভারত-চিনের বন্ধু হওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত” — দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানালেন শি জিনপিং

টিয়ানজিনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে হওয়া এই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে শি জিনপিং বলেন, “ভারত ও চিনের বন্ধু হওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা দুই প্রাচীন সভ্যতা। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব উন্নয়নশীল দেশগুলির ঐক্য, সহযোগিতা ও মানবসমাজের অগ্রগতিকে এগিয়ে নেওয়া। হাতি আর ড্রাগনের মিলন এশিয়া ও বিশ্বের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।”

তিনি আরও জানান, এই বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি। শি জিনপিং-এর বক্তব্যে উঠে আসে বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা ও বহুপাক্ষিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “ভারত-চিন সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ — পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে।” কাজান সম্মেলনে (২০২৪) ফলপ্রসূ আলোচনার কথা স্মরণ করে তিনি জানান, সীমান্তে অচলাবস্থা কাটিয়ে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, কৈলাস মানসসরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু ও ভারত-চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করার দিকেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, “২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থ ভারত-চিন সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত। এর সুফল মানবজাতির কল্যাণেও প্রতিফলিত হবে।”

এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল এমন সময়ে যখন আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক টানাপড়েন চলছে। অন্যদিকে, সাত বছর পর প্রথমবার চিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর এটি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হিসেবে ধরা হচ্ছে।

Related posts

প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, সব মামলাতেই মুক্তি—জেলমুক্তি কবে?

১ অক্টোবর থেকে আধার আপডেটের খরচ বাড়ছে ২৫-৫০%! দেখে নিন নতুন হারে কত লাগবে

চতুর্থীর সন্ধ্যায় অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার বার্তা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের