সিকিমকে হারিয়ে ফের সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে পৌঁছল বাংলা

ফের একবার সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে চলে গেল বাংলা বৃহস্পতিবার কল্যাণীর মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সিকিমকে ১-০ গোলে হারায় বাংলার ফুটবলাররা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বাংলার দিলীপ ওরাও। কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের পরামর্শে এদিন দুই প্রান্ত দিয়ে ক্রমাগত আক্রমণ চালাতে থাকে বাংলা।

আরও গোল হতে পারত। কিন্তু একাধিক সুযোগ নষ্টের কারণে এদিন ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেনাল্টি পায় বাংলা। কিন্তু পেনাল্টি মিস করে মহিতোষ। এরপরেও প্রথমার্ধে আরো দু’তিনটি সুবর্ণ সুযোগ পেলেও সুব্রত মুর্মু, দিলীপ ওঁরাও রা কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা ক্রস থেকে গোল করেন দিলীপ ওঁরাও। সেই গোলেই জয় পায় বাংলা।

এদিন বাংলার মাঝমাঠে সক্রিয় দেখাল বাসুদেব মান্ডিকে। প্রচন্ড পরিশ্রম করে খেলতে দেখা গেল তাঁকে। অন্যদিকে, সিকিম দু-একটা বিক্ষিপ্ত আক্রমণ ছাড়া সেভাবে বাংলা রক্ষণভাগে হানা দিতে পারেনি। বাংলার অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার এর নেতৃত্বে বাংলার রক্ষন ছিল প্রথম থেকেই বেশ জমাট। তবে বার বার দুই ডিফেন্ডার মনোতোষ ও সজল সমান্তরাল লাইনে চলে আসছিলেন যেখান থেকে বিপদ হলেও হতে পারত। প্রাথমিক পর্বে বাংলা স্ট্রাইকাররা যেভাবে গোল মিস করছেন তাতে এর পরের রাউন্ড নিয়ে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। পরবর্তী পর্বের আগে বাংলার কোচ রঞ্জন চৌধুরী স্ট্রাইকারদের এই ভুলগুলো শুধরে দিতে পারলে আগামী ম্যাচগুলোতে বাংলার আখেরে লাভই হবে । এদিন প্রথম একাদশে ছিলেন না কলকাতা লীগে নজর কাড়া সুকুরাম সরদার। অন্যদিকে, সিকিমের বীর বাহাদুর প্রধান, মিলন ছেত্রীরাও এদিন গোল শোধ করতে ব্যর্থ । সিকিম গোলরক্ষক বিপিন ভট্টরাজ সারা ম্যাচেই ব্যস্ত ছিলেন বাংলার আক্রমণ সামলাতে। বাংলা গোলরক্ষক প্রিয়ন্ত সিংকে সেভাবে কোনো বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি।

তবে শেষ ভাল যার সব ভাল তার। এই প্রবাদ বাক্যের মত করেই আপাতত সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে ফের একবার বাংলা ফুটবল দল। ঘরের মাঠে এই জয়ের কারণে খুশি এখন গোটা বাংলা।

Related posts

প্রতিজ্ঞায় অটল সূর্যকুমাররা! এশিয়া কাপ জিতেও পিসিবি চেয়ারম্যানের হাত থেকে ট্রফি নিল না ভারত, নিয়ে পালালেন পাক মন্ত্রী

সুপার কাপে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল একই গ্রুপে, গ্রুপ পর্বেই ডার্বি

অভিষেক ঝড়ে জিতল ভারত, বাংলাদেশকে ৪১ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে