এশিয়া কাপে সহজ জয় পেল পাকিস্তান। বুধবার দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে ৪১ রানে হারিয়ে সুপার ফোরে জায়গা পাকা করল সলমন আলি আঘার দল। এর ফলে আসন্ন রবিবার আবার মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান।
টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান আমিরশাহির অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি পাকিস্তানের। দ্রুত আউট হয়ে যান দুই ওপেনার সাহিবজ়াদা ফারহান (৫) এবং সাইম আয়ুব (০)। পরে সলমন আলি আঘা (২০), হাসান নওয়াজ (৩) এবং খুশদিল শাহ (৪)ও ব্যর্থ হন। এক সময় ৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে ভরসা জোগান ফখর জ়ামান। তিন নম্বরে নামা এই ব্যাটার ৩৬ বলে ৫০ রান করেন (২টি চার, ৩টি ছয়)। ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তোলেন শাহিন আফ্রিদি। ১০ নম্বরে নেমে ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংস খেলেন, মারেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। ফলে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানে।
আমিরশাহির হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন জেনেইদ সিদ্দিকি—৪ উইকেট নেন মাত্র ১৮ রানে। শুভমন গিলের ছোটবেলার বন্ধু সিমরণজিৎ সিংহও ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন। ধ্রুব পরাশর পান ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরশাহি। আলিশান শারাফু (১২), ওয়াসিম (১৪) ও জোহাইবেরা (৪) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। এরপর রাহুল চোপড়া কিছুটা লড়াই করেন, ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন (১ চার, ১ ছয়)। ধ্রুব পরাশরের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। তবে প্রয়োজনীয় পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থ হয় দল। শেষ দিকে মাত্র ১৭ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানে শেষ হয় আমিরশাহির ইনিংস।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি দুরন্ত বোলিং করেন—৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসও খেলেন। ব্যাট-বলে সমান সাফল্যের জন্য তাঁকেই ম্যাচসেরা ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আবরার আহমেদ ২ উইকেট নেন, হারিস রউফ পান ২ উইকেট, সাইম আয়ুব এবং সলমন আলি আঘা ১টি করে উইকেট দখল করেন।
এই জয়ের ফলে পাকিস্তান নিশ্চিতভাবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে গেল। এখন নজর রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচে, যেখানে ফের দেখা যাবে নীরজ বনাম নাদিমের অ্যাথলেটিক্স প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতো ক্রিকেটেও দুই দেশের লড়াই।