ডেস্ক : ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে কোপা আমেরিকা কাপ ঘরে তুলল আর্জেন্তিনা। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে হেরে গেল ব্রাজিল।
কোপা চ্যাম্পিয়ান হিসাবে উরুগুয়েকে ছুঁয়ে ফেলল আর্জেন্তিনা। এখনও পর্যন্ত ১৫বার এই কাপ ঘরে তুলেছে উরুগুয়ে (আগে ছিল সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ানশিপ)। সেই রেকর্ডকে ছুঁয়ে ফেলল মেসি, দি মারিয়ারা।
খরা কাটল মেসিরও। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বে এখনও পর্যন্ত দেশের হয়ে একটা ট্রফিও আনতে পারেননি। সেই দুর্ভাগ্য এবার ঘুচল।
শুরু থেকে মারকুটে ভঙ্গিতে খেলতে থাকে ব্রাজিল। ৩ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রেড। শেষ পর্যন্ত খেলার দখল নেয় আর্জেন্তিনা। খেলাটাকে মাঝমাঠে সীমাবদ্ধ রাখতে সমর্থ হয় তারা।
ম্যাচের ১৪ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ পান নেইমার। কিন্তু আর্জেন্তিনার ডিফেন্ডাররা এমন ভাবে ঘিরে ধরেন যে সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন নি।
প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে বারবার ভাঙার চেষ্টা করছিলেন আর্জেন্তিনার আনখেল দি মারিয়া। কিছুতেই সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। বারবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ফল মিলল ২১ মিনিটের মাথায়।
মাঝমাঠ থেকে নেওয়া একটি শট চলে যায় দি মারিয়ার কাছে। সেটা কাজে লাগান। ব্রাজিলের গোল রক্ষক রেনান লোদির মাথা টপকে বল জড়িয়ে যায় যায় জালে।
তবে এরপর আর ব্রাজিলের ডিফেন্সকে ভাঙতে পারেননি মারিয়া।
এরপর গোল শোধের লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। ৫২ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের রিচারলিসনের গোল বাতিল হয় লাইন্সম্যান অফসাইড ডাকায়। ৫৫ মিনিটে একটি গোল বাঁচান আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক মার্তিনেজ।
মাঝে মাঝেই জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন মেস। কিন্তু ব্রাজিলের ডিফেন্ডাররা তাঁকে সুযোগ দেননি। ৬৫ মিনিটের মাথায় মেসিকে বক্সে ফেলে দেওয়া হয়। আর্জেন্তিনা পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি কানে তোলেননি।
ম্যাচে এতো হলুদ কার্ড দেখাতে হয় যে নির্ধারিত সময়ের পরও খেলা পাঁচ মিচিন গড়ায়। কিন্তু, ব্রাজিলের পক্ষে সমতা ফেরানো সম্ভব হয়নি।
১৯৯৩ সালের পর আবার কোপা গেল আর্জেন্তিনায়। মারাদোনা যদি থাকতেন।
ছবি : রয়টার্স