কলকাতা ময়দানের ফুটবল মানেই উত্তেজনা, আবেগ আর ভরা গ্যালারি। ডুরান্ড কাপে এবার সেই উন্মাদনা ফের একবার ছড়িয়ে পড়তে চলেছে যুবভারতীতে। সেমিফাইনালে লড়াই ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ড হারবার এফসি। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি জয়ের পর লাল-হলুদ শিবিরের নজর এখন ফাইনালের টিকিটে। তবে কোচ অস্কার ব্রুজো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
কারণও রয়েছে যথেষ্ট। গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেও জামশেদপুরকে তাদের মাঠে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে প্রথমবার ডুরান্ডের শেষ চারে পৌঁছেছে ডায়মন্ড হারবার। রাজ্যের শাসকদলের প্রভাবিত এই নতুন ক্লাবকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বাড়ছে আলোচনার ঝড়। কোচ কিবু ভিকুনা কলকাতা ময়দানের পুরনো মুখ। তিনি জানেন বড় দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে মানসিকতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ইস্টবেঙ্গল কোচ ব্রুজোর সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা খেলোয়াড়দের কার্ড সমস্যা। ডার্বিতে সাউল ক্রেসপো, দিয়ামানতাকোস, মিগুয়েল ফিগুয়েরা, মহম্মদ রাকিপ এবং লালচুংনুঙ্গা হলুদ কার্ড দেখেছেন। সেমিফাইনালে আবার কেউ কার্ড দেখলে ফাইনালে খেলতে না-ও পারেন। ফলে দলের উপর চাপ আরও বেড়েছে। ব্রুজোর কথায়, “আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল। কিন্তু এর জন্য সেমিফাইনালে সতর্ক থাকতে হবে। নক আউট ম্যাচে প্রতিপক্ষকে অবহেলা করলে তার ফল খারাপ হতে পারে।”
অন্যদিকে, ভিকুনা বলেছেন, “ইস্টবেঙ্গল শক্তিশালী দল, কিন্তু আমাদেরও হারানোর কিছু নেই। আমরা ডুরান্ডে প্রমাণ করেছি লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে। জামশেদপুরকে তাদের মাঠে হারিয়ে এসেছি। সেমিফাইনালে সর্বস্ব দিতে চাই।”
ডায়মন্ড হারবারের ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভেইরা চোটের জন্য এখনও দলে ফিরতে পারেননি। তবে কোয়ার্টারে তাঁর অনুপস্থিতিতেই জিতেছে দল। ফলে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভিকুনার শিবির।
কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে ঘিরে বছরের পর বছর যে ফুটবল রাজত্ব চলেছে, সেখানে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে ডায়মন্ড হারবার। বুধবারের ম্যাচ এখনও ক্লাসিক ডার্বি নয়, তবে গ্যালারি ভরা থাকবে তা বলাই বাহুল্য। কে যাবে ফাইনালে? তার উত্তর মিলবে যুবভারতীর সবুজ ঘাসে।