মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অবশেষে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় তুলে নিল। মাত্র ১১৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২.৫ ওভারেই জয় নিশ্চিত করল তারা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে মুম্বই সব বিভাগেই আধিপত্য ধরে রাখল।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালান রিকালটন। অন্যদিকে, বড় রান করতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা। মাত্র ১৩ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে পুল করতে গিয়ে হর্ষিত রানার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তবে রোহিতের ব্যর্থতা সত্ত্বেও বাকি ব্যাটাররা সহজেই ম্যাচ নিজেদের করে নেন। রিকালটন ৪১ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সূর্যকুমার যাদবও ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস উপহার দেন।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ দুই সাক্ষাতে জয় পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এদিন তারা পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যাট হাতে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি কেকেআর। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। মুম্বইয়ের পেস আক্রমণের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে কলকাতার ব্যাটিং লাইনআপ। অভিষেক ম্যাচেই ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নজির গড়লেন তরুণ পেসার অশ্বিনী কুমার। আইপিএলের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ভারতীয় বোলার, যিনি অভিষেক ম্যাচেই চারটি উইকেট পেলেন।
ম্যাচের শুরুতেই প্রথম ধাক্কা দেন ট্রেন্ট বোল্ট। মাত্র তিন বলেই শূন্য রানে আউট হন সুনীল নারিন। এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। ব্যর্থ হন ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৩)। ৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। দলের সর্বোচ্চ স্কোর করেন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী (২৬)। রিঙ্কু সিং (১৭), মণীশ পাণ্ডে (১৯) এবং রাসেল (৫) কেউই বড় রান করতে পারেননি। শেষ দিকে রমনদীপ সিং (২২) কিছুটা চেষ্টা করলেও দলকে ভদ্রস্থ স্কোর এনে দিতে ব্যর্থ হন।
শেষ পর্যন্ত ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো সমস্যাই হয়নি মুম্বইয়ের। রিকালটন ও সূর্যকুমারের ব্যাটে ভর করেই ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা।