পাওয়ার প্লে-তে ৫ উইকেট হারিয়েও দুরন্ত প্রত্যাবর্তন চেন্নাইয়ের। শেষমেশ কেকেআরকে হারিয়ে ইডেনে স্বমহিমায় মহেন্দ্র সিং ধোনি।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাওয়ারপ্লেতে ঝড় তুলেছিলেন সুনীল নারায়ণ ও অধিনায়ক অজি়ঙ্ক রাহানে। প্রথম ছয় ওভারে ওঠে ৬৭ রান, হার শুধু গুরবাজের উইকেট। তবে মন্থর পিচে ধীরেসুস্থে জাঁকিয়ে বসেন গুজরাটের আফগান স্পিনার নুর আহমেদ। রাহানে বুক চিতিয়ে লড়লেও রিভার্স সুইপের ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে ৪৮ রানে থেমে যান। এরপর রাসেল মেজাজে থাকলেও ২১ বলে ৩৮ করে তিনিও উইকেট ছেড়ে দেন নুর আহমেদকেই। চার উইকেট তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই তরুণ স্পিনার। শেষদিকে মণীশ পাণ্ডের ৩৬ রানে ভর করে ২০ ওভারে কেকেআর পৌঁছয় ১৭৯-এ।
চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার শূন্যে ফেরায় ম্যাচ যেন আচমকাই কেকেআরের দিকে ঢলে পড়ে। তবে অভিষেকে বাজিমাত করেন উর্বিল প্যাটেল। মাত্র ১১ বলে চারটি ছয় মেরে করেন ৩১ রান। যদিও তাঁর বিদায়ের পর চেন্নাই এলোমেলো হয়ে পড়ে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই পাঁচ উইকেট পড়ে যায়। মাঝখানে ব্রেভিস বৈভবের এক ওভারে ৩০ রান তুলে ম্যাচে ফেরান সিএসকে-কে। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তীর বলে রিঙ্কুর হাতে ধরা পড়ে তিনিও ফেরেন।
পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ চূড়ান্ত নাটকীয়তায় পৌঁছয় শেষ তিন ওভারে। হর্ষিত রানার এক ওভারে দুবে ছক্কা মারায় ম্যাচ চেন্নাইয়ের দিকে যেতে শুরু করে। কিন্তু রাসেলের দুরন্ত ১৮তম ওভার—মাত্র চার রান—আবার টানটান উত্তেজনা ফেরায়। শেষ ওভারে দরকার ৮। দুবে ছক্কা মেরে যখন ৪৫ রানে পৌঁছেছেন, সবাই ধরেই নেয় ম্যাচ শেষ। ঠিক তখনই ফিরে যান তিনি। এরপরও ধোনি ছিলেন। সেই চেনা ধোনি, চাপের মুখে শান্ত, স্থির, কার্যকর। মিড উইকেটে রকেট গতিতে বল পাঠিয়ে দলকে জেতান ২ উইকেটে।