শারদোৎসবের সূচনা শহরে। শনিবার বিকেল থেকেই শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টানা চারদিনের পুজো উদ্বোধন যাত্রা। এদিনই শহরের তিনটি বড় পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি—প্রথমে হাতিবাগান সর্বজনীন, তারপর টালা প্রত্যয় এবং শেষে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো, যা প্রতিবছর নজরকাড়া আলোকসজ্জা ও থিমের জন্য আলাদা খ্যাতি পায়। এই তিন মণ্ডপের উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই কার্যত শুরু হয়ে যাবে রাজ্যের দুর্গোৎসবের আসর।
আগামীকাল, রবিবার মহালয়ার দিনেও ব্যস্ত সূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। নজরুল মঞ্চ থেকে দলীয় মুখপত্র জাগোবাংলা-র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ করার পর তিনি যাবেন দক্ষিণ কলকাতার একাধিক নামী মণ্ডপে—৯৫ পল্লি, যোধপুর পার্ক, বাবুবাগান ও সেলিমপুর পল্লি। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ৯৫ পল্লি থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজো। সেখান থেকে সরাসরি তিনি পৌঁছবেন চেতলা অগ্রণীতে, যেখানে প্রতিবছরের মতো মূর্তির চোখ আঁকার মধ্য দিয়ে সূচনা করবেন উৎসবের। এখান থেকেই ভার্চুয়ালি জেলার একাধিক পুজো উদ্বোধনেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। গত কয়েক বছর ধরে এই ধারাই বজায় রয়েছে।
এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। শনিবার থেকে শুরু হয়ে টানা চারদিন একের পর এক পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে শহরে আগেভাগেই শুরু হয়ে যাবে দর্শনার্থীদের ভিড়।
তবে উৎসবের মাঝেই রয়েছে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মহালয়ার দিন দুপুরের পর থেকে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের জেরে আগেভাগেই ঠাকুর দেখা শুরু করতে পারবেন শহরবাসী।
দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে এবার পুলিশও বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত চালু থাকবে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর, যাতে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।