মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য বাংলার তিন কন্যা—তিতাস সাধু, হৃষিতা বসু এবং রিচা ঘোষ। বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরলেন শুধু তিতাস আর হৃষিতা। তবে ভারতীয় সিনিয়র দলে যোগ দেবেন বলে আর কলকাতায় ফিরতে পারেননি রিচা।
এ দিন বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তিতাস আর হৃষিতাকে বিশেষ ভাবে স্বাগত জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং অগণিত ক্রিকেট ভক্ত।
বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন বাংলার জোরে বোলার তিতাস সাধু। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্পেলেই বিধ্বস্ত হয়েছিল ইংল্যান্ড। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন ২টি উইকেট। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও জুটে ছিল চুঁচুড়ার তিতাসের।
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মাঠে চলে যান তিতাস। সেখানে প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের হাতে বিশ্বকাপের সোনার পদক তুলে দেন। তাঁর এই সাফল্য উৎসর্গ করছেন ছোট থেকে যাঁরা তাঁর পাশে রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে। আগামী লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিশ্বকাপ জেতাটা আমাদের মেয়েদের জন্য খুব দরকার ছিল। সবাই খুব খুশি। পরবর্তী লক্ষ্য আইপিএল আর জাতীয় দল”।
বালিটিকুরির বাসিন্দা হৃষিতা বলেন, “এর আগে আমায় কেউই চিনত না। তবে বিশ্ব জয়ের পর এখন লোকজন আমায় চিনেছে। বদল বলতে এইটুকুই। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বজয় করা হয়ে গিয়েছে। এর পরে পাখির চোখ সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়”।