কলকাতা: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় দানা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। তার আগে পরিস্থিতির দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দানা’-র স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেছেন যাতে হেল্পলাইন নম্বরে শুধুমাত্র সঠিক তথ্য জানানো হয়। তিনি জানান, অকারণে ফোন করা থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এটি মানুষের জীবন রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন যে ভুয়ো বা বিভ্রান্তিকর তথ্য সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, যা থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি মানুষের জীবন বাঁচানোর লড়াই। কোনো গুজবে কান দেবেন না, ভয় পাবেন না।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে থেকে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তিনি নিজে নবান্নের দফতর থেকেই সার্বিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন দফতরের কর্মকাণ্ড তদারকি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানুষের জীবন রক্ষা করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেই কারণেই স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা সারারাত কাজ করবেন এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ডিভিসি-কে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। এর থেকে ডিভিসি যদি খননটা ঠিক মতো করে, তাহলে আরও বেশি জল ধরে রাখতে পারে।’