দেবী দুর্গা হয়ে ট্রোলড ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

শিউলি কাশের গন্ধ জানান দিচ্ছে পুজো আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তারপর বছর ভর পরীক্ষার শেষ, বাঙালির মেতে উঠবে শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয়। তবে পুজোর চারদিনের আগে আসে মহালয়া। ইতিমধ্যেই স্টার জলসা আর জি বাংলার তরফে থেকে মহালয়ার প্রোমো মুক্তি পেয়েছে। এবার মহালয়ার ঝলক শেয়ার করল কালার্স বাংলা। যেখানে দেবী দুর্গা রূপে দেখা গেল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। প্রথমবার মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। প্রোমো শেয়ার করে চ্যানেলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘মহালয়ার ভোরে এবার লাগুক নতুনত্বের ছোঁয়া! দেখুন আদ্যাশক্তি মহামায়ার দশ রূপের অজানা কাহিনী দেবী দশমহাবিদ্যা’।

দেবী দুর্গার সাজে মাথায় মুকুট, লাল রঙের বেনারসি, গা ভর্তি সোনার গয়নার সাজ, হাতে ত্রিশূল নিয়ে স্মিত হাসি মাখা মুখে দেবীর বরাভয় অবতারে ঋতুপর্ণার প্রথম লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে তুমুল তরজা। টলিউডের এই অভিনেত্রীকে দেবী দুর্গার সাজে মোটেই মানাচ্ছে না বলে সরাসরিই জানাচ্ছেন তারা।শুধু তাই নয় ঋতুপর্ণাকে সরাসরি ‘ন্যাকাশ্রী’, ‘বুড়ি দূর্গা’ বলে কটাক্ষ করছেন তারা। প্রোমোর নিচে কমেন্ট বক্সে একের পর এক মন্তব্যের রীতিমত বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তো কারও দাবি, দেবী দূর্গার চোখ নেই! নেটিজেনদের একাংশ বলছেন দেবী দুর্গার মুখের নির্বাচন সম্পূর্ণ ভুল হয়েছে। হতাশ হয়ে কেউ লিখছেন, “ সব দারুণ। কিন্তু কাকে দূর্গা সাজালেন!! মানাচ্ছে না। অনেকেই বড় ফিল্মস্টার হতেই পারেন কিন্তু মায়ের মধ্যে যে পবিত্রতা থাকে, যে প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারেন, তার এক অংশও ঋতুপর্ণার মুখে নেই।” কেউ কটাক্ষ করে লিখছেন, “ভাগ্যিস রাণু মন্ডলকে নেয়নি!”

আবার কেউ কেউ প্রশংসাও করেছেন।নেট-নাগরিক লিখলেন, ‘ঋতুপর্ণা ম্যামকে দুর্গা রূপে অনেকদিন আগেই দেখানো উচিত ছিল। সত্যিই উনি দুর্গা হওয়ার যোগ্য, অন্তত একবার।’ অপরজন লিখলেন, ‘খুব একটা খারাপ লাগছে না যতটা ভাবা হয়েছিল। আশা করা যায় ভালোই হবে।’

আরও পড়ুন: কল্যাণ সেন বরাটে বর্ণময় জীবন নিয়ে তথ্যচিত্র

Related posts

৩৩ বছরের অভিনয়জীবনে প্রথম জাতীয় পুরস্কার শাহরুখ খানের, তবে ভাগও দিতে হবে অন্য একজনকে

সুপারস্টার দেবের ২০ বছরের ফিল্মি সফর, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন মোহনলাল