ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিল, শর্তসাপেক্ষে ১৫,২৮৪ জনকে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে রাজ্য সরকার। একদল পরীক্ষার্থীর দায়ের করা মামলা খারিজ সর্বোচ্চ আদালতে। আগেই এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
২০১৪-তে টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। ১৫২৮৪ পদে নিয়োগ হয়। বাকি পদগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি ছিল, মেধা তালিকা স্বচ্ছ নয়, অনেক ভুল রয়েছে। তাই নিয়োগ বন্ধ করা হোক। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে হয় সেই মামলা। মোট ১৬৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি। জানিয়ে দেন, কোনও নিয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানেই স্বস্তি মিলেছিল রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন: ফের চার পুলিশকর্তা ও এক জেলাশাসকে বদল করল নির্বাচন কমিশন
এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। খারিজ করা হল সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ।
২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের যেখানে যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস রয়েছে, সেখানে পূর্ণাঙ্গ মেরিট লিস্ট যথাযথ ভাবে টাঙাতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সামনে আর কোনও বাধা রইল না।ফেব্রুয়ারিতেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, প্রাথমিকে ১৫ হাজারের বেশি শূন্যপদে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ শুরু হবে।