নয়াদিল্লি: সোমবার ৩৩ জন সাংসদকে বরখাস্ত করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী, ডিএমকে সাংসদ টি আর বালু এবং দয়ানিধি মারান এবং তৃণমূলের বেশ কয়েক জন সাংসদ।
ডেরেক ও’ব্রায়েন ছাড়াও বরখাস্ত হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অসিত মাল, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রতিমা মণ্ডল এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়দের নামও। এ ছাড়াও বিজেপি-র টিকিটে জয়ী এবং পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুনীল কুমার মণ্ডলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে এই সাংসদদের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট, পরে তিনটে পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তার পরেও পরিস্থিতি তপ্ত হওয়ায় অধীর-সহ ৩০ জনের বেশি সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।
প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর, লোকসভা চলাকালীন সেখানে ঢুকে, হলুদ ‘রং স্প্রে’ করেন এবং স্লোগান দেন ২ যুবক। সেই ঘটনা নিয়ে এখনও সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সেই ঘটনা নিয়ে সংসদের বাইরে এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেও, এখনও সংসদের ভিতরে কোনও মন্তব্য করেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের সুরক্ষা নিয়ে দুই কক্ষে বিস্তৃত আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা। এর পাশাপাশি, সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতিও দাবি করে তারা। এই বিবৃতির দাবিতে এদিনও উত্তাল হয় সংসদের দুই-কক্ষ। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে লোকসভায় হট্টগোল করেন বিরোধীরা। আর এই অভিযোগে অধীর চৌধুরী-সহ ৩৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়।