৪টি ট্র্যাক, ৩টি ট্রেন, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বিপর্যয়! কী ভাবে ঘটল ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা

শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষের জেরে মৃত কমপক্ষে ২৮৮ জন, আহত প্রায় ৯০০।

ঘটনায় প্রকাশ, শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে একটি মালগাড়িতে ধাক্কা মারে। আরেকটি ট্রেন, যশবন্তপুর-হাওড়া সুপারফাস্টের সংঘর্ষ ঘটে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত কোচগুলির সঙ্গে।

মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং ধ্বংসস্তূপে অনেকেই আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুর্ঘটনায় সক্রিয় ভাবে জড়িত করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর সুপারফাস্ট। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটিও এই দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।

রেল আধিকারিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে ঘটে।

রেলের তরফে একটি যৌথ পরিদর্শন রিপোর্টে সিগন্যালের ত্রুটির কথাই বলছেন রেল আধিকারিকেরা। তবে এটি প্রাথমিক রিপোর্ট। বিস্তারিত তদন্তের পর দুর্ঘটনার কারণ আরও স্পষ্ট হবে।

শনিবার সন্ধ্যার খবর, আহতদের দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার বালেশ্বরে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এটা খুবই গুরুতর ঘটনা। আহতদের চিকিৎসায় কোনো খামতি রাখবে না সরকার। খুবই গুরুতর ঘটনা এটা। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’’

Related posts

আন্তর্জাতিক মিউজিয়াম দিবসে কলকাতা জাদুঘর জমজমাট সাধারণ মানুষের ভিড়

‘বেরিয়ে যেতে পারেন’, অধীরকে কড়া কথা শুনিয়ে দিলেন খাড়্গে

কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা, মৃত ২